ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫ , ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পুলিশভ্যানে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা ৪ গাড়ি খাদে ঋণের বোঝা কমাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য কমাল সরকার ঋণের বোঝা কমাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য কমাল সরকার এক টাকা আয় করতে আড়াই টাকা ব্যয় তামান্নার উজ্জ্বল ত্বকের গোপন টিপস এক সিনেমায় দুই ক্লাইম্যাক্স! পাকিস্তানে টিকটকারকে গুলি করে হত্যা এবার এক সিনেমাতেই সাতটি চরিত্রে দেখা যাবে ইধিকাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় অভিনেত্রী তানিন সুবহা এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে নতুন ৭ সিনেমা এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে নতুন ৭ সিনেমা প্রকাশ পেলো ‘তাণ্ডব’ এর ২য় গান বিশেষ ভাতা পাবেন হাওর-চর দ্বীপ এলাকার শিক্ষকরা ক্রীড়াঙ্গনের বাজেট বাড়ছে ২৪২৩ কোটি টাকার প্রস্তাব বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ কমেছে নির্বাচনী বছরে ইসি পাচ্ছে তিন হাজার কোটি টাকা যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে বাড়বে যেসব পণ্যের দাম গণপরিবহনে নৈরাজ্য, দাপটে চলছে লক্কড় ঝক্কড় বাস ঈদযাত্রায় সড়কে দীর্ঘ জট রেলে ভোগান্তি

চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা

  • আপলোড সময় : ০২-০৬-২০২৫ ০৪:৩৮:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০৬-২০২৫ ০৪:৩৮:২৪ অপরাহ্ন
চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিলের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টাদের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা। ওই দুই উপদেষ্টা হলেন, খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তারা স্মারকলিপি গ্রহণ করে বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। সেখানে তারা ৩০ মিনিটের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। এরপর তারা মিছিল নিয়ে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এরপর তারা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি দেন। পরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলেও তিনি দফতরে ছিলেন না। পরে দুপুরের দিকে তার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন কর্মচারীরা। সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-কে কালো আইন উল্লেখ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মচারীরা। আজ সোমবার এ সমাবেশ থেকে তারা ঘোষণা দেন। তারা বলেন, আমরা যখন মাঠে নেমেছি তখন আমরা দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো। দাবি না মানলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও তারা ঘোষণা দেন। এরপর আন্দোলনকারী কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে যান। সেখানে তারা সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এ সময় আলী ইমাম মজুমদার কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এটা আমাকে দিলেন আমি নিয়েছি। এখন এটা সমাধান করা একক কোন উপদেষ্টার ব্যাপার না, এটা উপদেষ্টা পরিষদের ব্যাপার। এরপরে আমি বাকিটা আশা করব আপনারা আইনকানুন মেনে, সচিবালয়ের দীর্ঘদিনের যে সংস্কৃতির সেই অনুযায়ী চলবেন। সচিবালয়ের কর্মপরিবেশ ব্যাহত করবেন না এই অনুরোধ জানাচ্ছি। এরপর আন্দোলনরত কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় যান। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির আন্দোলনকারী কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের কথা শোনেন। কর্মচারীরা এ উপদেষ্টার কাছেও স্মারকলিপি পেশ করেন। এ সময় ফাওজুল কবির বলেন, এখানে (অধ্যাদেশে) কিছু প্রভিশন (ধারা) আছে যেগুলোর অপপ্রয়োগ হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমি এটি নিয়ে আলোচনা করব। সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের (কর্মচারী) যে অবস্থান তা হলো এটি বাতিল করে দিতে হবে। এটা একটা অবস্থান। কিন্তু আপনারা একটা জিনিস মনে রাখবেন, আর একটা বিষয় হতে পারে এই অধ্যাদেশটি যে অপপ্রয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে অ্যাড্রেস করা যায় কি না। সেটাও আপনারা একটু মাথায় রাখবেন। ফাওজুল কবির বলেন, এটার যে একটা ত্রুটি আছে। সেটা সম্পর্কে কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ সচেতন। আমি তো আর কিছু বলতে পারি না, আমি আপনাদের বাতিল করার দাবি উপদেষ্টা পরিষদে জানাবো। আপনারা ভেবে দেখবেন, এই অধ্যাদেশটির রেখে কী কী সেইফ গার্ডস ইন্ট্রোডিউস করলে এটা গ্রহণযোগ্য হবে। অফিসে কাজের পরিবেশটা যাতে থাকে সে বিষয়ে কর্মচারীদের নজর দেয়ার অনুরোধ জানান উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। এ সময় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম, কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর আন্দোলনরত কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টার কার্যালয়ে যান স্মারকলিপি দেয়ার জন্য। কিন্তু উপদেষ্টা সেখানে না থাকায় তারা ফিরে আসেন। এর আগে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা দেশে এলে তার সঙ্গে কথা বলে ভূমি সচিব আমাদের একটা ফলাফল দেবেন। ইতোমধ্যে একটা পজিটিভ রেজাল্ট দেয়ার কথা। এজন্য আমরা কর্মসূচি কিছুটা শিথিল করে স্মারকলিপি দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সঙ্গে বৈঠক হবে। বৈঠকের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান কর্মচারী নেতারা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার, রোব ও সোমবার পাঁচ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেন কর্মচারীরা। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে অধ্যাদেশ বাতিলে কর্মচারীদের স্মারকলিপি দেয়ার কথা রয়েছে। চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়। গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর ২৪ মে থেকেই আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছিল। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অভিহিত করছেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স